অনলাইনে দিনে ২৫ টি বিজ্ঞাপন দেখে , আপনি 300 টাকা আয় করতে পারেন। আর 12 দেখলে আয় হবে 140
টাকা। যাইহোক, অর্থ উপার্জন করতে, আপনাকে একটি ‘প্যাকেজ’ কিনতে হবে এবং সদস্য হতে হবে। আপনিও
8 হাজার বা 12 হাজার টাকা দিয়ে সদস্য আইডি কিনে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এছাড়া নতুন সদস্য আনতে
পারলে ৫০০ টাকা কমিশন পাবেন।নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করে এবং ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন প্রচার করে অর্থ আত্মসাতের একটি প্রতারক চক্রের সন্ধান পেয়েছে ঢাকা
মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ডিবি জানায়, গত ১৫ ডিসেম্বর সোহেল রানা নামে এক
ভুক্তভোগী বাদী হয়ে কদমতলী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। পরদিন ডিবির সাইবার ও বিশেষ
অপরাধ বিভাগ রুবেল হাসান (২৬)সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। রাজধানীর দক্ষিণ মোল্লাবাড়ি এলাকা থেকে
গ্রেফতারকৃত অন্য দুইজন হলেন এজেন্ট মাহিম আহমেদ (মুন্না) (২১) ও রোজিনা আক্তার (২৩)। তাদের কাছ
অনলাইনে দিনে ২৫ টি বিজ্ঞাপন দেখে
থেকে তিনটি মোবাইল ফোন ও ছয়টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।ডিবি জানায়, ভারতীয় একটি কোম্পানির ভুয়া পরিচয়ে গত তিন মাসে ১ হাজার ৬০০ জনের কাছ থেকে প্রতারক চক্রের সদস্যরা ২ কোটির বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সারা দেশে এ চক্রের ১১ জন এজেন্ট রয়েছে। শুরুতে আনুগত্য অর্জনের জন্য সদস্যদের বিজ্ঞাপন দেখার জন্য কিছু সময়ের জন্য অর্থ প্রদান করা হলেও পরবর্তীতে তাদের অর্থ প্রদান করা হয়নি। ভারতীয় মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করে খোলা ওয়েবসাইটটিতে কোনো অফিসের নাম বা ঠিকানা ছিল না। ফলে ভুক্তভোগীরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি।মামলার বাদী সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, আমি ২৪ হাজার টাকায় ‘স্ট্যান্ডার্ড আরএস ড্যাশ কে’ নামে দুটি সদস্য আইডি কিনেছি। সেখানে বিদেশি বিজ্ঞাপন দেখা যেত। বেশ
কিছুদিন ধরে বিজ্ঞাপন দেখছি
কিছুদিন ধরে বিজ্ঞাপন দেখছি। কিন্তু কোনো টাকা পাইনি। ‘ডিবি সূত্রে জানা গেছে, বিজ্ঞাপন দেখে টাকা আয়ের কথা বলে তিন মাসে ২১৩ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে এমএলএম কোম্পানি রিংআইডি। গত বছরের অক্টোবরে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে কোম্পানিটির পরিচালক মো. সাইফুল ইসলামকে গুলশান থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।হুবহু একই পদ্ধতিতে ওয়েবসাইট খুলে এমএলএম ব্যবসার নামে এই কেলেঙ্কারি শুরু করেন রুবেল হাসান। পরে তিনি এজেন্ট নিয়োগ করেন এবং সদস্য নিয়োগ করেন। এভাবে তিন মাসে প্রতারণার মাধ্যমে ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করা হয়। ডিবি জানায়, রুবেল হাসান এ টাকা থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। আর বাকি টাকা ভাগ করে নেয় এজেন্টরা।