এ বছর আমাদের জন্য অনেক সম্ভাবনা , থাকবে, চ্যালেঞ্জও আছে। তবে চ্যালেঞ্জের শেষে একটা সম্ভাবনা
আছে। চলতি বছরের কথা বললে আগের দুই বছরের প্রভাব বিবেচনায় নিতে হবে। এত সমস্যার মধ্যেও গত
অর্থবছরে আমাদের অর্থনীতির সূচকগুলো ইতিবাচক প্রবণতায় রয়েছে। বিশ্বের সেরা কোম্পানিগুলো
বাংলাদেশকে বিখ্যাত করেছে। আইএমএফের মতে, বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকার মধ্যে ২০২৬ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় যুক্ত হবে। সেই
যাত্রায় আমাদের এক বছর আছে কিন্তু শেষ হয়ে গেছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশ হওয়া সত্ত্বেও রফতানিতে
শুল্কমুক্ত সুবিধা হারানোসহ অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হব। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের দর কষাকষির
শক্তি বাড়াতে হবে। গবেষণায় মনোযোগ দিন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর আইনে দেখলাম, তারা
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় কর ছাড় দিচ্ছে। কিন্তু এলডিসি নিয়ে গবেষণা কি গুরুত্বপূর্ণ নয়? আমি মনে করি জাতীয়
এ বছর আমাদের জন্য অনেক সম্ভাবনা
পর্যায়ে যেকোনো গবেষণাকে ছাড় দেওয়া উচিত।স্বল্পোন্নত দেশগুলোর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের স্থানীয় শিল্পায়নের ওপর জোর দিতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগ আরও আকর্ষণীয় করতে হবে। সে জন্য আগে স্থানীয় শিল্পকে শক্তিশালী করতে হবে। সে জন্য এনবিআরকে কর ছাড় ও প্রণোদনা দিতে হবে। সরকার যে দিচ্ছে না তা নয়। তবে তৈরি পোশাক খাতের মতো সুযোগ-সুবিধা অন্যান্য সম্ভাবনাময় উদীয়মান শিল্পে যুক্ত করা দরকার। 36 বছর নার্সিং করার পর, পোশাক খাত বিশ্বের মানচিত্রে একটি শক্তিশালী পা রাখা হয়েছে। এখন চামড়া, ওষুধ, তথ্যপ্রযুক্তি, পাট, সিরামিক, প্লাস্টিকের মতো সম্ভাবনাময় খাতগুলোর দিকেও নজর দিতে হবে।রপ্তানি আয় বাড়াতে পণ্য, বাজার ও রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে হবে। এই তিনজনকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আপনাকে অন্যটির আগে একটি করতে হবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ আমাদের রপ্তানির প্রধান গন্তব্য। রপ্তানির মাত্র ১১ শতাংশ
যায় এশিয়ায় এবং ৪-৫ শতাংশ
যায় এশিয়ায় এবং ৪-৫ শতাংশ মধ্যপ্রাচ্যে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে আফ্রিকাতে রপ্তানি সেরকম নয়। এসব বাজারে আমাদের ওষুধ, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং অন্যান্য পণ্য রপ্তানির ভালো সুযোগ রয়েছে।আরেকটি বিষয় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সামুদ্রিক অর্থনীতির দিকে নজর দেওয়া। আমাদের পণ্যসম্ভারের মাত্র 3-4% জলপথের উপর নির্ভর করে। এ জায়গার ওপর জোর দিলে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি সড়কের যানজটও কমবে। আবার বিশাল সমুদ্র জয় করলেও আমাদের জেলেরা খুব কম জায়গায় যেতে পারবে। কারণ আমাদের ট্রলার বা জাহাজ নেই। কিন্তু ভারত ও মিয়ানমারের জেলেরা সেখানে মাছ ধরার ব্যবসা করছে। সরকার স্বল্প সুদে ঋণ দিলে ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করবেন। মাছ রপ্তানির বিরাট সুযোগ কাজে লাগাতে পারব।