দেশে বিদেশি পর্যটকদের আগমনে বড় , ধরনের ধাক্কা লেগেছে। আগে যে হারে বিদেশি পর্যটক এদেশে
আসতেন তা এখন ধীরে ধীরে কমছে। তবে আশার কথা হলো অনাবাসী বাংলাদেশিরা পর্যটনের ওপর নির্ভর
করছে। বিদেশ থেকে তাদের দেশে আসার হার বাড়ছে।সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)
জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘পর্যটন স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট’ শীর্ষক সমীক্ষার ফলাফল অনুসারে, 2015-16
অর্থবছর থেকে শুরু করে পরবর্তী দুই বছরে দেশে বিদেশী পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতা 2018-19 অর্থবছরে
শীর্ষে এসেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ লাখ ৮ হাজার বিদেশি পর্যটক দেশে এসেছিলেন। পরবর্তী 2016-17
অর্থবছরে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় 2 লাখ 29 হাজারে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায়
দেশে বিদেশি পর্যটকদের আগমনে বড়
আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯১ হাজারে। অর্থাৎ গত অর্থবছরে পর্যটকের সংখ্যা বাড়লেও আগের তিন বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধির হার অনেক কম। 2018-19 অর্থবছরে, পর্যটকের সংখ্যা মাত্র 2 শতাংশ বেড়েছে। তবে আগের বছরগুলোতে পর্যটকের সংখ্যা ২৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে। করোনার কারণে ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা আরও কমেছে।বিবিএসের এক জরিপে দেখা গেছে, বিদেশি পর্যটক কমার প্রবণতা সত্ত্বেও অনাবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা বাড়ছে। 2015-16 অর্থবছরে 9 লাখ 16 হাজার অনাবাসী বাংলাদেশি তাদের দেশে এসেছে। পরবর্তী 2016-17 অর্থবছরে সংখ্যাটি বেড়ে 10 লাখ 34 হাজারে এবং পরের বছর 2016-17 সালে তা বেড়ে 11 লাখ 59 হাজারে উন্নীত
তারপর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা বেড়ে
তারপর 2018-19 অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় 13 লাখ 51 হাজারে।2018-19 অর্থবছরে মোট 16 লাখ 40 হাজার পর্যটক দেশে এসেছে। এর মধ্যে 80.28 শতাংশ বা 1.35 মিলিয়ন অনাবাসী বাংলাদেশি। বাকি ২ লাখ ৯১ হাজার বিদেশি পর্যটক।গত ডিসেম্বরে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে বিবিএস। সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশে পর্যটকের সংখ্যা এবং ভ্রমণ ব্যয়ের পরিমাণ এবং মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) পর্যটন খাতের অবদান জানতে এই জরিপ চালানো হয়েছে। দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার ঠিক আগে গত বছরের মার্চে এই জরিপ শুরু হয়। যারা দেশে বা দেশের বাইরে এক রাতের বেশি সময় কাটিয়েছেন তারা জরিপে পর্যটক হিসেবে ধরা পড়েছেন।